স্বাস্থ্য 

ঢাকা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার মোঃ মহসিনুজ্জামান চেম্বার ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমরাও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমরা আজকে আলোচনা করতে চলে এসেছি ঢাকা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের চেম্বার ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার সম্পর্কে আলোচনা করতে। তিনি কোথায় বসেন চেম্বার ঠিকানা মোবাইল নাম্বার সম্পর্কে। আগ্রহ বেশি প্রকাশ করে থাকেন। তাই তাদের জন্যই আজকের আলোচনা।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই রোগকে চিহ্নিত করে ধীরে ধীরে নিরময়ের মাধ্যমে ভালো করা। তাই এই চিকিৎসাকে অনেককে একটি ৫০০ থেকে চিকিৎসা হয়ে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই চিকিৎসা খুবই উপকারী এবং প্রয়োজন। যেকোনো বয়সের মানুষ এই চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে এবং উপকৃত হতে পারে। তবে প্রাচীনকালে এই চিকিৎসা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং এই চিকিৎসায় পূর্ণরূপকে চিহ্নিত করা হয় এবং ধীরে ধীরে নির্মূল করা হয়।

হোমিওপ্যাথির ডাক্তার মোঃ মহসিনুজ্জামান চেম্বার ও যোগাযোগ নাম্বার

আপনি যদি ঢাকা সেরা ডাক্তার গুলোর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার যোগাযোগ না কিংবার জানতে চান তাহলে এখনি আমাদের আর্টিকেলটি নিচে থেকে জেনে নিন।

  • ডাক্তার নাম: ডাঃ মোহাম্মদ মহশীনুজ্জামান
  • ডাক্তার চেম্বার ঠিকানা: বাইতুন নূর জামে মসজিদ, বাস স্ট্যান্ড রোড,হাউজ নং ১, রোড নং ৩/৯ ব্লক এ মিরপুর-১১, ঢাকা
  • ডাক্তার চেম্বার মোবাইল নাম্বার: 01712-079617

হোমিও মেডিসিনের কাজ কি?

বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাক্তার মোঃ হ্যানিম্যানের বিখ্যাত অর্গানন অফ মেডিসিন পুস্তকে লিখেছেন যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দুই ধরনের কাজ হয়। একটি হচ্ছে রোগ আরোগ্য করা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে রোগ সৃষ্টি করা। নিজের এবং ৫০ জন সহকর্মীর দ্বারা সুস্থ দেহের প্রায় ১০০ টির মতো ওষুধ বারবার প্রয়োগ করে পরীক্ষা করছেন এরপর সেটি চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রয়োগ করার সুপারিশ দিয়েছেন।

হোমিওপ্যাথি কি বিজ্ঞান

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে যে হোমিওপ্যাথিক কি একটি বিজ্ঞান। হোমিওপ্যাথিক হচ্ছে একটি শব্দ বৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা ১৯৮৬ সালের জার্মান শিকার মিনান এই পদ্ধতি চালু করেছে। তিনি এই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আবিষ্কারক।

এলোপ্যাথিক কি

এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিটি হল প্রাচীন বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং আধুনিক চিকিৎসা কে সংজ্ঞায়িত করতে ব্যবহার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

হোমিওপ্যাথিক ও অ্যালোপ্যাথিক এর মধ্যে পার্থক্য:

হোমিওপ্যাথিক এবং অ্যালোপ্যাথিক দুইটি রোগ নিরাময়ের বাহক হলেও উভয়ের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা নিম্ন:

লোপ্যাথির মাধ্যমে বহু রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফল নিয়ে আসা যায়। অন্যদিকে, ৫০% ক্রনিক রোগই এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় নির্মূল হয় না। তরুন রোগের ক্ষেত্রে এলোপাথির চেয়েও দ্রুত ফলাফল দেয় হোমিওপ্যাথি।

এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার ফলে আরো দুরারোগ্য রোগের জন্ম হয়। যেমন ব্যথার ঔষধ খেলে কিডনি নষ্ট হতে থাকে। অন্যদিকে, হোমিওপ্যাথির তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। অর্থাৎ ব্যথার জন্য হোমিও ঔষধ খেলে আপনার কিডনি নষ্ট হবে না।

বহু রোগ রয়েছে যেগুলির মূলত কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। সেসব ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা আন্দাজ অনুমান ভিত্তিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে. যেমন – আইবিএস, পাইলস, ফিস্টুলা, ভেরিকোসিল, স্পার্মাটোসিল ইত্যাদি ইত্যাদি। অন্যদিকে, সার্জারী বহির্ভুত ৯০% রোগের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি একাই কভার করে যা একক ভাবে অন্যকোন চিকিৎসা পদ্ধতি করতে পারে না।

এলোপ্যাথিক ঔষধ ইতর শ্রেণীর জীবজন্তুর উপর পরিক্ষিত এবং মানব শরীরে বহু পার্শপ্রতিক্রিয়া জন্ম দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, হোমিও ঔষধ মানব শরীরে পরীক্ষিত। ফুর্মলা অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগ সেরে যায়।

এলোপ্যাথিক ঔষধের সংখ্যা অনেক কম। অন্যদিকে, হোমিওপ্যাথির যে পরিমান ঔষধ রয়েছে তার চার ভাগের এক ভাগ ঔষধও এলোপ্যাথি আজ পর্যন্ত আবিস্কার করতে পারেনি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *